অনামিকার কান্না

$5.00

Category: book
by জান্নাতুল ফেরদৌস

Category:

Description

এক
অনামিকার বিয়ে হয়েছে সাত বছর। ভালোবেসে প্লাবনের হাত ধরে
পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেছে। পরিবারের কারো সাথেই খুব একটা যোগাযোগ নেই ছোট বোন তানিশা ছাড়া। প্লাবন কিছুই করে না। বড়লোক বাবার ছেলে- এটাই তার পরিচয়। বিয়ের পর অনেক অবহেলা, অপমান সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতে সবার সাথে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করে আসছে অনামিকা। সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে আজ অনামিকার নিজের ভালো লাগা-মন্দ লাগা বলতে কিছুই নেই। অনামিকা মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ। কারণ ভালোবাসার টানে একদিন যেই মানুষটার হাত ধরে পরিবার-পরিজন ছেড়ে চলে এসেছে, সে এখন আর অনামিকাকে ভালোবাসে না। অনামিকাকে যে কোনো সময় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে ডাস্টবিনে। আজ বিয়ের সাত বছর। এই দিনে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। আর এখন অনামিকার মনে হয়, প্লাবনের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করাটাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। যেই ভুলের কারণে অনামিকাকে হারাতে হয়েছে তার মাকে, পুরো পরিবারকে এবং তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা ও ইচ্ছাগুলোকে। বিয়ের সাত বছর হলো কিন্তু অনামিকার কোনো সন্তান নেই । প্লাবনের পরিবারে অনামিকা এমনিতেই অবহেলিত, তারপর একটা সন্তান নেই এ জন্য এই পরিবারে অনামিকাকে যে কী পরিমাণ অবহেলা এবং অপমান সহ্য করতে হয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এত কষ্ট নিয়ে অনামিকার আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না। অনামিকার ছোট বোন তানিশার বিয়ে হয়েছে তিন বছর। তানিশা এখন সন্তানসম্ভবা। এ কথা তানিশা যেদিন অনামিকাকে কল করে বলেছিল, অনামিকা অনেক খুশি হয়েছিল। অনামিকা খুশি হয়ে প্লাবনকে বলতেই প্লাবন বলল, তুমি তো মা হতে যাচ্ছ না। এত খুশির কী আছে?

দুই.
এই বাড়িতে অশানিকার শ্বশুর-শাশুড়ি, ছোট দেবর ও তার বউ এবং তাদের একটা ফুটফুটে মেয়ে বাৰু আছে। আর আছে দুই শশল। তাদের নিয়ে হয়ে গেছে। তার নিজেদের সংসার আর বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে ভালোই আছে। মাঝে মাঝে এই বাড়িতে আসে ঝামেলা করতে। অনামিকা তবে তরে থাকে, তারা এসেই আবার কোন ঝামেলা সৃষ্টি করে। শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর, শশপ ও তাদের জানাই সবার মন জুগিয়ে চলতে চলতে অশানিকা টায়ার্ড। তবুও যেন কারো যশের মতো হতে পাতল শ। এই তো সেলিশ অ্যানিকা তার শাশুড়ির জন্য চা নিয়ে রুমে ঢুকবে, হঠাৎ মনে হলো শাশুড়ি মোবাইলে খুব আস্তে আস্তে কার সাথে বেশ কথা বলছে। অশানিকা রুমে শা ঢুকে পরতার সামনে দাঁড়াতেই বুঝতে পারল তার বড় শতলের সাথে কথা বলছে তাকে শিরেই। অ্যানিকা দরজার সামনে থেকে সরে যেতেই হাত থেকে চারের কাপ ক্লোরে পড়ে যায়। অনামিকার শাশুড়ি পরতার কাছে এসে দেখে, অশানিকা দরজার সামনে আর ফ্লোরে রাঙা চারের কাপ পড়ে আছে। শাশুড়ি বলে উঠল, পরজার সামনে দাঁড়িয়ে আড়ি পেতে কথা শুনছিলে? অশ্বনিকা বলল, যা আপনার জন্য চা নিয়ে এসেছিলাম। দেখলাম আপশি মোবাইলে কথা বলছেন তাই চলে যাচ্ছিলাম। শাশুড়ি বলল, কাপটা তো তেঙে ফেলেছো। অশানিকা আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি ভাঙা কাচগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করল। তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করতে যেয়ে অনামিকার হাত অনেকটা কেটে গেল। তিশার সেটের একটা কাপ ভেঙে যাওয়ার সানিকার শাশুড়ি খুব কষ্ট পেয়েছে। অনামিকার হাত কেটে গেলে এই বাড়িতে কেউ কষ্ট পায় না। তাই কাটা হাত দিয়েই অশানিকাকে সব কাজ করতে হয়েছে। কেউ এসে….

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “অনামিকার কান্না”
× How can I help you?