ওগো মৌন, না যদি কও
ওগো মৌন, না যদি কও – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওগো মৌন, না যদি কও না-ই কহিলে কথা। বক্ষ ভরি বইব আমি তোমার নীরবতা। স্তব্ধ হয়ে রইব পড়ে, রজনী রয় যেমন করে জ্বালিয়ে তারা নিমেষহারা ধৈর্যে অবনতা। হবে হবে প্রভাত হবে…
বিরহের কবিতা
ওগো মৌন, না যদি কও – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওগো মৌন, না যদি কও না-ই কহিলে কথা। বক্ষ ভরি বইব আমি তোমার নীরবতা। স্তব্ধ হয়ে রইব পড়ে, রজনী রয় যেমন করে জ্বালিয়ে তারা নিমেষহারা ধৈর্যে অবনতা। হবে হবে প্রভাত হবে…
এই দৃশ্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাঁটুর ওপরে থুতনি, তুমি বসে আছো নীল ডুরে শাড়ী, স্বপ্নে পিঠের ওপরে চুল খোলা বাতাসে অসংখ্য প্রজাপতি কিংবা সবই অভ্রফুল? হাঁটুর ওপরে থুতনি, তুমি বসে আছো চোখ দুটি বিখ্যাত সুদূর, পায়ের আঙুলে লাল আভা। ডান…
আত্মবিলাপ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু, হায়, তাই ভাবি মনে? জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে যায়, ফিরাবো কেমনে? দিন-দিন আয়ুহীন হীনবল দিন-দিন ,– তবু এ আশার নেশা ছুটিল না ? এ কি দায়! রে প্রমত্ত…
খুব প্রয়োজন ছিল – শামসুর রাহমান এই ভরদুপুরে যখন আমার বুক বিরান পথের মতো খাঁ খাঁ, যখন আমার ধূসর দৃষ্টিময় চোখ ফেটে জল ঝরতে চাইছে, যখন তোমার বিচ্ছেদে আমি কাতর, নতুন করে মনে হলো তোমাকে আমার খুব প্রয়োজন ছিল অনেক…
এই তো দাঁড়িয়ে আছি – শামসুর রাহমান এই তো দাঁড়িয়ে আছি তোমার কাছেই কিছু কথা বলার আশায়। জানতে কি চাও সেই কথা এখনই রাত না পোহাবার আগেই? কী করে সম্ভব তা? সে-সাধ্য আমার নেই। অপেক্ষা তোমাকে কিছু করতেই হবে।…
ডাহুকী – জীবনানন্দ দাশ মালঞ্চে পুষ্পিত লতা অবনতমুখী,- নিদাঘের রৌদ্রতাপে একা সে ডাহুকী বিজন- তরুর শাখে ডাকে ধীরে ধীরে বনচ্ছায়া- অন্তরালে তরল তিমিরে! -আকাশে মন্থর মেঘ, নিরালা দুপুর! -নিস্তব্ধ পল্লীর পথে কুহকের সুর বাজিয়া উঠিছে আজ ক্ষণে ক্ষণে ক্ষণে! সে…
অচলা বুড়ি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অচলবুড়ি, মুখখানি তার হাসির রসে ভরা স্নেহের রসে পরিপক্ক অতিমধুর জরা। ফুলো ফুলো দুই চোখে তার, দুই গালে আর ঠোঁটে উছলে-পড়া হৃদয় যেন ঢেউ খেলিয়ে ওঠে। পরিপুষ্ট অঙ্গটি তার, হাতের গড়ন মোটা, কপালে দুই ভুরুর…
– শামসুর রাহমান আমি তো ছিলাম ভস্মরাশি হয়ে গৌরববিহীন অন্ধকারে সুনসান এলাকায় অনেক বছর। আমার ওপর বয়ে গ্যাছে কত যে বৈশাখী ঝড়, তুহিন বাতাস তীক্ষ্ম ছুঁয়েছে আমাকে রাত্রিদিন। তবুও নিস্পন্দ একা ছিলাম নিয়ত গমগীন্ অগ্নিদগ্ধ বেহালার ভস্মের মতন স্তব্ধতায়; করেনি…
কবর – জসীমউদ্দীন এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর…